কৃষি তথ্য সার্ভিস সরকারি একটি কৃষি বিষয়ক সেবা। এটি বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ একটি সেবা সংস্থা ও বহু মাধ্যমভিত্তিক উন্নয়ন যোগাযোগ বিভাগ। এটি পাকিস্তান সরকার কর্তৃক ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। কৃষি তথ্য সার্ভিস এর প্রধান কার্যালয় ঢাকা জেলার খামারবাড়িতে অবস্থিত। ১৯৮৫ সালে কৃষি তথ্য সার্ভিসের দফতর সমূহে পরিবর্তন এনে এটিকে দুইভাগ করে এর এক-তৃতীয়াংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সরঞ্জাম পশুসম্পদ ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে এটি দেশের সরকারি-বেসরকারি ১৫টি সংস্থাকে সেবা প্রদান করে। [১]
২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের কৃষি তথ্য সার্ভিসের ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে। এসব খুলনা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, রংপুর, রাজশাহী, কুমিল্লা ও পাবনায় অবস্থিত।[২] প্রতিষ্ঠানটিতে ১৬ জন কর্মকর্তাসহ মোট ১৮৯ জন কর্মচারী কাজ করে। একজন পরিচালকের অধীনে কৃষি তথ্য সার্ভিসের প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক সহ সকল সার্বিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। একজন প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, একজন উপ-পরিচালক (গণসংযোগ) এবং কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি বিভাগের ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনার দায়িত্ব পালনে পরিচালককে সহায়তা করে। বিভাগের বিভিন্ন শাখা পরিচালনার জন্যে একজন করে প্রেস ম্যানেজার, সম্পাদক, অডিও ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট, প্রশিক্ষণ ও প্রয়োগ অফিসার এবং ফিল্ম প্রোডাকশন অফিসার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন৷[৩]
কৃষি তথ্য সার্ভিস কৃষকের কাছে চাষাবাদের প্রয়োজনীয় তথ্য পৌঁছে দেয়। বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্য সম্প্রসারণ কর্মীদের দ্বারা কৃষকের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। কৃষকদের জন্যে মাসিক পত্রিকা কৃষি কথা প্রকাশ করে৷ কৃষি তথ্য সার্ভিসের বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত মাটি ও মানুষ একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ বেতারে সোনালী ফসল, দেশ আমার মাটি আমার নিয়মিত প্রচার করে কৃষি তথ্য সার্ভিস।[১]
সুত্র: উইকিপিডিয়া
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস