বাঁশখালী থেকে নির্বাচিত সর্বকনিষ্ঠ ইউপি সদস্য সিদ্দিক আকবর বাহাদুর। মানব সেবাকে মনে করেছেন পরম দায়িত্ব। দেশের চলমান করোনা সংকটে নিজের এবং তার পরিবারের সার্বিক সহযোগীতায় সাধ্যমত খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করে আসছেন এ জনপ্রতিনিধি। অব্যাহত রেখেছে অসহায়, হতদরিদ্র মানুষকে সহযোগীতা করার মানবিক প্রক্রিয়া। তার নিজ এলাকায় ইউপি সদস্য বাহাদুর এখন 'আমাদের বাহাদুর ভাই' নামে বেশ জনপ্রিয় নাম। দেশের ক্রান্তিকালে অসহায় মানুষগুলোর ঈদ যাবে কেমন সেটা ভাবা যায়! তাদের অন্তত ছোট ছোট বাচ্চাদের শান্তনা দেওয়ার মতো ভাষাহীন অঙ্গন এ করোনার দুঃসময়। এ ইউপি সদস্য সাধ্যের মধ্যে নিজের ব্যক্তিগত ও পরিবারের সার্বিক সহযোগীতায় নিজ ওয়ার্ডের সহায় সম্বলহীন, অসচ্ছল ১০০ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ১টি পৌরসভাসহ ১৪ টি ইউনিয়নের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ইউপি সদস্য সিদ্দিক আকবর বাহাদুর। শিলকুপ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জনতার রায়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ইউপি সদস্য হিসেবে ২০১৭ সালের জুন মাসের ৪ তারিখে শপথ গ্রহন করেন তিনি। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানা যায়, সিদ্দিক আকবর বাহাদুরের মরহুম পিতা আহমদ খলিল প্রকাশ কালু মেম্বার দীর্ঘ ২১ বছর একাধারে ইউপি সদস্য ছিলেন। তার মা ফাতেমা বেগম ১৪ বছর ইউপি সদস্যার দায়িত্ব পালন করেন।
তার সে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে স্থানীয় জনসাধারণ। বর্তমানে তিনি একজন ইউপি সদস্য। তাদের পরিবারকে ঐতিহ্যবাহী মেম্বার পরিবার বললে চলে। হাতে-গুনা খুব কম পরিবারই আছে যাদের উত্তরসূরীদের মধ্যেও এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকে।
ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বাবা-মায়ের ঐতিহ্যগত জনসেবাকে ধারণ করে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। ছুটে যাচ্ছেন জনগণের সমস্যায়, দুঃখ-সুখে। সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জনগণের পাশে থেকে জনগণের অধিকার নিশ্চিৎ করতে। একজন ইউপি সদস্য হিসেবে তার ভুমিকা এলাকার মানুষই সাক্ষি। দেশের করোনা সংকটে অনেক অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
অনেকের বাড়ী বাড়ী পৌছে দিচ্ছেন ত্রাণ সহায়তা। নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ পর্যন্ত ৩ শতাধিক পরিবারে পৌছিয়ে দেন ত্রাণ। কখনো কখনো সমাজের বিত্তবানদের থেকেও ত্রাণসহায়তা নিয়ে আসেন এলাকার অসহায় মানুষদের জন্য। সরকারিভাবে যৎসমান্য ত্রাণ পান তাও তিনি হতদরিদ্রদের মাঝে পৌছে দেন যথাযথভাবে। অনেক পরিবারকে নগদে অার্থিক সহযোগীতা করেছেন। তার পারিবারিক ফান্ড থেকে সহযোগীতা অব্যাহত রেখেছেন।
সিদ্দিক আকবর বাহাদুর বলেন, 'আমি এলাকার সামান্য একজন ইউপি সদস্য। আমার মরহুম বাবা এ এলাকার আস্থা ও ভালোবাসার প্রতিক ছিলেন। মা' ইউপি সদস্য হিসেবেও বাবার মতো সেবাব্রত কাজ চালিয়ে গেছেন। আমার বাবার কাছ থেকে শিখেছি মানুষকে কিভাবে ভালোবাসতে হয়। আমি ক্ষুদ্র মানুষ সাধ্যের মধ্যে মানুষের পাশে দাড়াতে চেষ্টা করেছি। আমার এলাকার মানুষগুলোই যেন আমার পরিবারের সদস্য। তাদের নিয়েই আমার সকাল-সন্ধ্যা। শান্তি এখানেই যখন কেউ আমাদের দ্বারা উপকৃত হয়। হতদরিদ্র পরিবারগুলোর কথা ভেবে, তাদের ১০০ পরিবারের মাঝে আমার পক্ষ থেকে ঈদ উপহার হিসেবে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করি।'
সুত্র: বাঁশখালী জনপদ24.কম
